দূরবিন
দূরবিন ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোর ডানলাপ ইনস্টিটিউট ফর এস্ট্রোনমি এন্ড এস্ট্রোফিজিক্স এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আইইউবি’র কম্পিউটেশনাল এন্ড অব্জার্ভেশনাল এস্ট্রোনমি ল্যাবের (কোল্যাব) যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি এস্ট্রোনমি আউটরিচ প্রগ্রাম। এই প্রগ্রামের আওতায় ডানলাপ আইইউবিকে দুইটি ইউনিস্টেলার ইকুইনক্স-১ টেলিস্কোপ এবং ১০,০০০ কানাডিয়ান ডলার দিয়েছে। ডানলাপের পোস্টডক থাকার সময় বাংলাদেশে এই দুরবিন ও অনুদান পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন বর্তমানে এমেরিকার ওয়েলসলি কলেজের এসিস্টেন্ট প্রফেসর লামিয়া মওলা। বাংলাদেশে দূরবিন প্রগ্রামের কাজ দেখাশোনা করছেন আইইউবির এসিস্টেন্ট প্রফেসর ও কোল্যাবের ডিরেক্টর খান আসাদ।
দূরবিনের সূচনা
ডানলাপের পোস্টডক থাকার সময় লামিয়া মওলা ২০২২ সালে বাংলাদেশে এসে আইইউবিতে খান আসাদের সাথে যোগাযোগ করে একটি আউটরিচ প্রগ্রাম শুরু করার কথা বলেন। তখন থেকেই দূরবিনের সূচনা। তবে অনেক বুরোক্রেসির পর দূরবিনের দুরবিন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। মার্চের ৯ তারিখ আইইউবির অডিটোরিয়ামে আমাদের প্রগ্রাম উদ্বোধন করেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান। উদ্বোধনের পর আইইউবির একাডেমিক বিল্ডিঙের ছাদে একটি এস্ট্রোনমি নাইটের আয়োজন করা হয়। প্রায় পাঁচশর বেশি মানুষ সেই রাতে দলে দলে ছাদে গিয়ে ইউনিস্টেলার কোম্পানির বানানো দুটি ইকুইনক্স-১ দুরবিন দিয়ে বিভিন্ন নেবুলা ও গ্যালাক্সির ছবি তোলা দেখেছিলেন। দেখিয়েছিলেন আমাদের ১৬ জন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার।
আমাদের কাজ
ডানলাপের ফান্ডিঙে দূরবিনের প্রাথমিক কাজ চলবে ২০২৫ পর্যন্ত। এর পর ২০২৬ থেকে সব দায়িত্ব পালন করবে আইইউবির কোল্যাব। দূরবিনের কাজ মূলত দুই ধরনের: ইমেজিং ও ইভেন্ট। আমরা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রায় দেড়শ’ ক্যান্ডিডেট থেকে ১৬ জন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার বেছে নিয়েছি যাদের রাশভারী নাম দূরবিন, অর্থাৎ দূর বিশ্বের নাগরিক। আমাদের দুরবিন দিয়ে আমাদের দূরবিনরা দেশের বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করেন। আর ওয়েদার ভালো থাকলে তারা দুরবিন নিয়ে দূরের বিভিন্ন অন্ধকার লোকেশনে চলে যান ইমেজিঙের জন্য, আকাশের বিভিন্ন বস্তুর ছবি তুলতে। বর্তমানে তারা বাংলাদেশ থেকে মেসিয়ে ক্যাটালগের সবগুলো বস্তুর ছবি তোলার চেষ্টা করছেন। সফল হলে আমরা প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ থেকে তোলা সব মেসিয় বস্তুর ছবি প্রকাশ করব।