২০ জুন ২০২৩-এ Andromeda Space and Robotics Research Organization (ASRRO) আয়োজিত জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক আয়োজন ASRRONAUT2.0 তে চুয়েটে হাজির হয়েছিল দূরবিনের দূর বিশ্বের নাগরিকেরা। সাথে ছিলো একটি Celestron 100az প্রতিসারক দুরবিন এবং একটি Unistellar Equinox স্মার্ট দুরবিন।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় একটি সেশন পরিচালনা করেন দূরবিনের ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার হাসান মাহমুদ সজীব। সেশনটি তিনি শুরু করেন দূরবিনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে। এরপর আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য দারুণ Stellarium সফটওয়্যারটির খুঁটিনাটি যত্ন নিয়ে তিনি তুলে ধরেন। এর মধ্য দিয়ে ASRRONAUT2.0 তে দূরবিনের কার্যক্রম শুরু হয়। আয়োজনের অংশ হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। এতে তিনি মহাকাশবিজ্ঞানে প্রকৌশল ও প্রযুক্তির সাম্প্রতিক ব্যবহার নিয়ে কথা বলেন। এরপর অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল একটি কুইজ।
আকাশের দিকে তাকিয়ে বুঝতে কষ্ট হচ্ছিলো না রাতটি শ্রাবণ মেঘের রাত। নক্ষত্রপুঞ্জের প্রাচীন আলোর রহস্যে হারাবার জন্যে অনুপযুক্ত একটি রাত। জড়ো হওয়া জ্যোতির্বিদ্যা অনুরাগীদের জন্যে এটি মোটেও সুখকর খবর ছিলো না।
এই রাতে ঘন মেঘকে ভেদ করে নক্ষত্রের সুর ধরা পড়ে নি আমাদের দুরবিনে। কিন্তু তাতে রাতটা পানসে হয়ে যায় নি। বরং Unistellar Equinox দুরবিনটি দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তোলা একঝাঁক নেবুলা, গ্যালাক্সি ও তারাপুঞ্জের ছবি দেখতে দেখতে এবং সেইসব ছবি ধারণের গল্পে গল্পে রাত বাড়তে থাকে। অংশগ্রহণকারীরা চোখ রাখেন Celestron এর আইপিসে এবং শোনেন দূরবিনদের গল্প, এবং দুরবিনের গল্প! তারাশূন্য আকাশের তলে উৎসাহী অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহে একটি সুন্দর রাত কেটে যায়।
চুয়েটের উৎসুক এইসব মানুষের মাঝে কোন এক মেঘলীন আকাশের রাতে দূরবিন আবার ফিরে আসবে এবং সবাইকে সাথে নিয়ে তুলে ফেলবে সুদূর গ্যালাক্সি, নেবুলাদের ছবি।
ততদিন পর্যন্ত, clear sky to everyone!
লেখা: তাসনিম মাহফুজ নাফিস
ছবি কৃতজ্ঞতা : Andromeda Space & Robotics Research Organization